• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সরকারি চাকরি আইন কার্যকর হবে ১ অক্টোবর

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৪ অক্টোবর সরকারি চাকরি আইন সংসদে পাস হয়। এরপর ১৪ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

এ আইনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলে তাদের গ্রেফতারের আগে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আইনে আরো বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে জনবল নিয়োগ হবে মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে। তবে সংবিধানের ২৯(৩) অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে সরকার ‘পদ সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আইনে সরকারকে সরকারি গেজেট আদেশ দ্বারা প্রজাতন্ত্রের যে কোনো কর্ম বা কর্মবিভাগ সৃজন, সংযুক্তকরণ, একীভূতকরণ, বিলুপ্তিকরণসহ অন্য যেকোনোভাবে পুনর্গঠন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কোনো বিদেশি নাগরিককে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত করা যাবে না মর্মে বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে।

একই সঙ্গে বলা হয়েছে, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবাগ্রহণকে কোনো অর্থেই প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বলে গণ্য করা যাবে না।

আইনের ৩২ অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের লঘু ও গুরুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। লঘু শাস্তির মধ্যে রয়েছে- তিরস্কার, পদোন্নতি বা বেতন স্থগিত এবং ক্ষেত্রবিশেষ ক্ষতিপূরণ আদায়।

গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- পদাবনতি, বাধ্যতামূলক অবসর, অপসারণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা। কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড বা এক বছর মেয়াদের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে রায় দেয়ার দিন থেকে চাকরি থেকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত হবেন। তবে কর্মচারী এক বছর বা তার কম মেয়াদের জন্য দণ্ডিত হলে কর্তৃপক্ষ লঘুদণ্ড দেবেন।

প্রজাতন্ত্রের কর্ম থেকে বরখাস্ত হয়েছেন, এমন কোনো ব্যক্তি ভবিষ্যতে প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মে বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। তবে এ আইনে যা-ই থাক না কেন, রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনক মনে হলে তিনি সাজা পাওয়া ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করতে পারবেন এবং চাকরিতে পুনর্বহাল করতে পারবেন।