• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

৯৫ ভাগ পরিবারেই গরুর খামার দিনাজপুরের যে গ্রামে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০১৯  

গ্রামের নাম মুরারীপুর। এই গ্রামের ৯৫ ভাগ বাড়িতে গরুর খামার আছে। কর্মসংস্থান পেয়েছে যুবকরা। ঈদুল আজহা ঘিরে তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার গরু ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করছেন।

দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মুরারীপুর। বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের এই গ্রামের ২০জন যুবককে গরু মোটাতাজা করার প্রশিক্ষণ দেয়।

প্রশিক্ষণ পেয়ে একটি দুইটি গরু কিনেন তারা। এরপর খামার গড়া শুরু। ধীর ধীরে ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। বেকারত্ব দূর হচ্ছে। স্বাবলম্বী হচ্ছেন সবাই।

মুরারীপুর গ্রামের শাহাপাড়ার গরু খামারি শামিম মিয়া জানান, ২০১০ সালে বাবার দেয়া ৭ হাজার টাকার একটি গরুর বাছুর দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু হয়। এখন খামারে বিদেশি ১০টি গরু আছে। প্রতিটি গরু প্রায় ২ লাখ টাকা দরে বিক্রি হবে। আর দেশীয় জাতের ষাঁড় আছে ২০টি। এবার কুরবানির প্রস্তুত করা হয়েছে। ৯ বছরে খামারে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার গরু আছে।

খামারি হাসিমুদ্দিন জানান, আমাদের গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে নিজেদের উদ্যোগে গরুর খামার তৈরি করা হচ্ছে। সহযোগিতা করছেন উপজেলা প্রণি সম্পদ কর্মকর্তারা। তারা নির্দেশনা দিচ্ছেন কিভাবে গরু মোটাতাজা করা হয়।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ড. আশিকা আকবর তৃষা জানান, এই মুরারীপুর গ্রামের ২০ জনকে গরু মোটাতাজা করা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর থেকেই তারা খামারে জড়িয়ে পড়েছেন।

দিনাজপুর জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. শাহীনূর আলম  জানান, সারা দেশে খুবই বিরল একটি গ্রাম। এই গ্রামের মতো যদি অন্যান্য জেলায় মোটাতাজা করার খামার তৈরি করা হয় তাহলে বেকার সমস্যা থাকবে না। কুরবানিতে আর পশুর সঙ্কট থাকবে না। খামারের গরু দিয়েই কুরবানির পশুর চাহিদা মিটবে।

তিনি আরো জানান, দিনাজপুর জেলায় এ বছর কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৮৯ হাজার ৩৮০ টি ষাড়, বলদ রয়েছে ১২ হাজার ১৩৩টি, গাভী রয়েছে ১৮ হাজার ৩৮৩টি, মহিষ ৬৩ টি। মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫টি পশু রয়েছে। চাহিদা রয়েছে ৮২ হাজার পশু।