• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

পোশাক খাতে নতুন করে ১শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯  

তৈরি পোশাক খাতে নতুন করে ১ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অর্থ বিভাগের হিসাবে শুধু ১ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় ব্যয় বাড়বে ৭৫ কোটি টাকা। ফলে তৈরি পোশাক খাতে সরকারের নগদ প্রণোদনা ব্যায় বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। (তথ্য সূত্র: অর্থ মন্ত্রণালয়)

সূত্র মতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে এবার ১০ বিলিয়ন ডলার বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৫৫ শতাংশ। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতেই হয়েছে ১১.৪৯ শতাংশ। রপ্তানির এ ধারা অব্যাহত রাখতে তৈরি পোশাক খাতকে আরও উৎসাহী করতে চায় সরকার। এ জন্য যারা তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কোনো সুবিধা পায় না তাদের আরও ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে নগদ প্রণোদনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নতুন ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ইউরোপ, আমেরিকা এবং কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এখন থেকে ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। বর্তমানে পোশাক খাতে চার ধরনের নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়ে থাকে। রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা বাবদ ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়। বস্ত্র খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা বাবদ ৪ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

নতুন পণ্য/নতুন বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা/কানাডা/ইইউ ছাড়া) বাবদও ৪ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইউরো জোনে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য (বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত) ২ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ শতাংশ যোগ হওয়ায় এ খাতে নগদ প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৫ শতাংশ। এর ফলে এ খাতে সরকারের ব্যয় আরও এক দফা বাড়ছে।