• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

৪ নদীর নাব্য ফেরানোয় ৪,২০০ কোটি টাকার প্রকল্প

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রাজধানীর পাশে গাজীপুর জেলাসহ চারটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ ৪টি নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে ৪ হাজার ২শ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। আগামীকাল মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে তা উত্থাপিত হতে পারে। নৌ-মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে নৌ-মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে গাজীপুর, শেরপুর, জামালপুর ও নীলফামারীর ৪টি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তত্ত্বাবধানে এর সকল কার্যক্রম শেষ করে আনার পর এখন একনেকের বৈঠকে উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রকল্পটি। আগামীকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি উত্থাপিত হতে পারে।

সূত্র জানায়, নাব্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়া এ নদীগুলো হচ্ছে- গাজীপুর জেলার নাগদা, শেরপুর জেলার ঝিনাই, জামালপুর জেলার বংশী এবং নীলফামারী জেলার ঘাঘট। নদীগুলো শুষ্ক মৌসুমে প্রায় মৃত অবস্থায় থাকে। বর্ষা মৌসুমে স্বল্প সংখ্যক নৌযান চলাচল করে।

ঢাকা জেলার পলাশ উপজেলার জলসিন্দুর ইউনিয়নের কাছে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নাগদা নদীটি উৎপন্ন হয়ে বালু নদীতে মিশেছে। এর দৈর্ঘ্য ২২ কিলোমিটার, প্রস্থ ২৫ মিটার।

শেরপুর জেলার ১নং কামারচর ইউনিয়নের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ঝিনাই নদীটি উৎপন্ন হয়ে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নে এসে ফটিকজানি ও চাপাই নাম ধারণ করে বংশী নদীতে পড়েছে। এর দৈর্ঘ্য ১৪২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২০ থেকে ৬০ মিটার। বর্ষাকালে কিছুটা স্রোত দেখা যায়।

জামালপুর সদরের হামিদপুর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে বংশী নামে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলা হয়ে ধলেশ্বরী নদীতে পড়েছে। এর দৈর্ঘ্য ২৬০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২শ মিটার। শুষ্ক মৌসুমে এটি প্রায় শুকিয়ে যায় এবং বর্ষার সময়ে এ নদীতেও স্রোত দেখা যায়।

এ বিষয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী বলেন, আগামী ৫ বছরে এ চার নদীর পাশের প্রায় ১০টি জেলার প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি সারা বছর পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান নির্বিঘ্নে চালাচল নিশ্চিত হবে। ফলে স্বল্পব্যয়ে মালামাল ও যাত্রী পরিবহণ নিশ্চিতের সঙ্গে সেচ সুবিধার মাধ্যমে নদীপাড়ের এলাকার মানুষের জীবন-মান উন্নত হবে।