• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রংপুরে ১১টি স্থানে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রংপুরের আট উপজেলার ১১টি স্থানে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। বিপন্ন প্রায় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ, অবাধ বিচরণ, প্রজনন, জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে মুক্ত জলাশয়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে করে মাছের উৎপাদন প্রায় ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সুবিধাভোগীদের মান উন্নয়ন ঘটছে।

রংপুর মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য অভয়াশ্রম একাধারে মাছের আশ্রয়স্থল ও প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। মৎস্য অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ বলে এখানে আশ্রয় নেয়া মাছ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। দেশে প্রায় ২৬৩টি মিঠাপানির মাছের প্রজাতি রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৬৪টি প্রজাতি হুমকির সম্মুখীন।

অপরদিকে ৬৪টি প্রজাতির মধ্যে নয়টি অধিক বিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫টি বিপদাপন্ন। এসব হুমকির সম্মুখীন দেশীয় মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণে অভয়াশ্রম একটি পরিবেশবান্ধব ও কার্যকরী ব্যবস্থাপনা কৌশল বলে দাবি মৎস্য অফিসের।

রংপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জেলায়  মোট ১১টি সরকারি অভয়াশ্রম রয়েছে। এরমধ্যে পীরগঞ্জে তিনটি, মিঠাপুকুরে দুইটি এবং রংপুর সদর, কাউনিয়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ পীরগাছা ও গংগাচড়া উপজেলায় একটি করে অভয়াশ্রম রয়েছে। এসব অভয়াশ্রমের  মোট আয়তন আট দশমিক পাঁচ হেক্টর। মোট সুফলভোগীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার ২০০ জন।

তিনি জানান, রংপুর  জেলায় অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রায়, বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির মাছ ভাঙ্গনা, জাত পুটি, তিত পুঁটি, চান্দা, কাকিলা, গুচি-বাইম, শিং, মাগুর, রানি মাছ, ভেদা, টেংরা, কাজলী, রিটা, টাকি ইত্যাদি মাছের পুনরাবির্ভাব ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি  পেয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বড় মাছ যেমন আইড়, ফলি, চিতল, গজার, শোল ইত্যাদি মাছের পুনরাবির্ভাব এর ব্যাপারেও লক্ষ্য করা গেছে।  জলাশয়ের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি অভয়াশ্রমের সুফলভোগীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।

মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, অভয়াশ্রম থেকে ধারাবাহিক সুফল পাওয়ার জন্য সরকারি রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা প্রয়োজন।