• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

যাত্রী সেবা ও মানোন্নয়নে ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ করছে সরকার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার গত ১০ বছরে নৌপরিবহন সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে, যা দৃশ্যমান। আগামী দিনের ভবিষ্যত আমাদের সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে নৌপরিবহন খাতকে বিকশিত করতে চাই।

সকল নদী বন্দরে যাত্রিসেবা ও মানোন্নয়নে সরকার ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মান করছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটস্থ আনন্দ শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিএ'র জন্য ৪৫ টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

এসময়  অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম বক্তব্য রাখেন, আনন্দ  শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহেল বারী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরুজা বারী বক্তব্য রাখেন।

Loading

প্রতিমন্ত্রী বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, সেসব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। তিনি বলেন,  প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি বিকাশের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে অর্থনীতির ধারা বিকাশের লক্ষ্যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার গঠন করেছে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার। বর্তমানে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ গতিশীল হয়েছে। ব্যবসা বান্ধব সুযোগ সুবিধায় ২০ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন সাংবিধানিক ভিত্তর ওপর দাড়িয়েছে। সবাই বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ না করে বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল বুঝতে পারেছে। শেখ হাসিনার সরকার পদ্মা সেতুর মত বড় ধরনের কাজ করতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন নদী বন্দরে স্থাপনের জন্য প্রায় ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৪৫ টি বিশেষ ধরনের টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এলক্ষ্যে এবছরের ২২ আগস্ট আনন্দ শিপইয়ার্ডের সাথে বিআইডব্লিউটিএর চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।  আশা করা যায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে  টার্মিনাল পন্টুনগুলো পাওয়া যাবে। প্রতিটি পন্টুনের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট এবং গভিরতা ৭.৫ ফুট।

৪৫টি পন্টুন যেসব বন্দরে স্থাপন করা হবে, সেগুলো হলো-ঢাকা নদী বন্দরের সদরঘাটে ১৫ টি, লারকুঠিঘাটে ৪টি, ওয়াইজঘাটে ৩টি, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে ৪টি, চাঁদপুর নদী বন্দরে ৪টি, ভোলা নদী বন্দরে ৩টি, পটুয়াখালী নদী বন্দরে ৩টি, মীরকাদিম নদী বন্দরে একটি, ফতুল্লা লঞ্চঘাটে দুটি, ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে দুটি, হুলারহাট লঞ্চঘাটে একটি, বরগুনা নদী বন্দরে একটি এবং খুলনা নদী বন্দরে দুটি।