• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে ওষুধ সেবা পাচ্ছে হাবিপ্রবিয়ানরা   

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে ওষুধ সেবা পেতে যাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। প্রায় এগারো হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হাবিবিতে অধ্যয়ন করলেও  বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ছিলো না এই সেবা। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে অবসান হতে চলেছে সমস্যাটির। 
ইউজিসিরবা জেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে প্রকল্পটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার। 

তিনি বলেন, হাবিপ্রবির উপাচার্য মহোদয় ইউজিসিকে দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে অবগত করে আসছিলেন। অবশেষে মুজিববর্ষে তারা ওষুধ কেনার জন্য প্রতিমাসে দেড় লাখ টাকা দিবেন। যা টেন্ডারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। ওষুধ প্রথমে শিক্ষার্থীদের জন্য সরবরাহ করা হবে। এছাড়া মেডিকেল সেন্টার সার্বক্ষণিক খোলা রাখার জন্য একজন ডাক্তার ও দুজন নার্স (একজন পুরুষ ও একজন নারী) চলতি নিয়োগেই যুক্ত হবেন মেডিকেল সেন্টারে।

এদিকে বিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া রহমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভিসির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা আশাবাদী আগামীতে এই বাজেটের আকার আর বৃদ্বি পাবে। তবে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন জরুরি। অনেক সময় দেখা যায় ভর মাপা যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে আছে। দিনের পর দিন কিংবা ডাক্তারদের যথাসময়ে পাওয়া যায় না। এছাড়া সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও চিকিৎসকরা দামি দামি এন্টিবায়োটিক ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। 

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, আমরা রোগীর অসুখের মাত্রা দেখে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করি। সুতরাং এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে ভর মাপা যন্ত্র শিক্ষার্থীরা যথাযথ ভাবে ব্যবহার না করায় দ্রতই বিকল হয়ে যাচ্ছে। আমরা আরো উন্নতমানের ভর মাপা যন্ত্রের সন্ধান চালাচ্ছি তা পেলেই পুনরায় মেডিকেল সেন্টারে যুক্ত করা হবে। তবে আমাদের জনবল কম থাকায় শিক্ষার্থীদের সব সময় চিকিংসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল সেন্টারে কমপক্ষে ১৩ জন ডাক্তার প্রয়োজন যদিও বর্তমানে ৬ জন কর্মরত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ইউজিসির টাকা পেলেই ফাস্ট এইডের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক ওষুধ সংযুক্ত হবে মেডিকেল সেন্টারে। যা শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে বিনামূল্যে মেডিকেল সেন্টার থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া চিকিংসা সেবার মানোন্নয়নে এরইমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিনতলা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টারের সম্প্রসারণ কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে।