• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বেরোবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: নিরাপত্তা চেয়ে আল্টিমেটাম

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বহিরাগতদের হামলা-হয়রানী বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাথে বহিরাগত (স্থানীয়) ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শেষে এ আল্টিমেটাম দেন নেতারা।

এসময় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আজম ফাইনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও শিক্ষার্থীদের জান-মালের ক্ষতির অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সেক্রেটারি নোবেল শেখ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ শে আগস্ট আবাসিক হলগুলোতে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতারের ২২ দিন পর জামিনে বেরিয়ে এসে আজ রাত আটটায় বহিরাগত দল-বল নিয়ে দেশিয় অস্ত্রনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হামলা চালায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এসময় দুপক্ষের অনেকেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। পরে তাজহাট থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি তুষার কিবরিয়ার জানান, বহিরাগতের হামলায় পরিপ্রেক্ষিতে হল থেকে ছাত্রলীগের প্রায় চার শতাধিক নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে হামলার অভিযোগ তুলে আজ রাতের মধ্যে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। এসময় হামলায় জজিড়তদের গ্রেফতার করা না হলে আগামীকাল থেকে সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের আল্টিমেটাম দেয় সংগঠনটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর আতিউর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে হঠাৎ করেই একটা ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হতে যাচ্ছিল। এর আগে একটি গ্রুপ দুই হলের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করার কারণে সেখানে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কিছু কিছু ব্যক্তির নামে। তারা হঠাৎ করে আজকে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল।

তিনি বলেন, আমরা জানি কিছু স্টুডেন্ট যাদের নামে মামলা করেছিল তারা এখানে ছিল। তবে যারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছিল তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব ই সর্তক অবস্থানে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।