• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে সুপারবাগে!

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮  

সুপারবাগে ইউরোপে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে বলে জানিয়েছে দ্য অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)।

বুধবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, সুপারবাগের কারণে ‘সাংঘাতিক বিপর্যয়’-এর মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

দরকারি নয় এমন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য ও হাসপাতালের মৌলিক স্বাস্থ্যবিধির পেছনে ব্যয় না বাড়ালে পরিণাম মারাত্মক হতে পারে বলে ওইসিডি জানিয়েছে।

চলতি সপ্তাহে ওইসিডি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, ২০১৫ সালে সুপারবাগের আক্রমণে শুধু ইউরোপেই ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সুপারবাগের আক্রমণে ২৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক-সহনশীল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় বিপুল ব্যয় হবে। প্রতিটি দেশের এই খাতে গড়ে বছরে প্রায় তিন বিলিয়ন ইউরো করে খরচ হবে।

সুপারবাগে সংক্রমণের ব্যয় সাধারণ জ্বর বা এইচআইভি সংক্রমণের চেয়ে অনেক বেশি। আর বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ না নেয়ায় খরচ আরো বাড়ছে।

প্রতিবেদন বলছে, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে সুপারবাগ আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে দেখা দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হার ৬০ শতাংশ। আর এসব ব্যাকটেরিয়া ন্যূনতম একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্রতি সহনশীল। আগে এসব অ্যান্টিবায়োটিককে ওই নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া ঠেকানো গেলেও, এখন আর যায় না।

এতে আরো বলা হয়েছে, সুপারবাগের কারণে রান্নার সময় হাত কেটে যাওয়া বা নিউমোনিয়ার মতো অসুখও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অপরিকল্পিত ও অতিরিক্ত ব্যবহারই এর কারণ বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।

প্রসঙ্গত, সুপারবাগ হলো অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়াকে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে ঠেকানো যায় না।