• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

বৈশ্বিক আর্থিক নজরদারিতে মিয়ানমার! 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

অর্থ পাচারের দায়ে বৈশ্বিক আর্থিক নজরদারি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম উঠতে যাচ্ছে মিয়ানমারের। মাদক পাচারকারীদের অর্থ পাচারের সুযোগ ও দুর্বল আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য দেশটিকে এই তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে বলে দু’টি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তালিকায় নাম আসার অর্থ অবশ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়। তবে তালিকায় অর্ন্তভূক্তি মিয়ানমারের আর্থিক বিকাশ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রবাহকে কমিয়ে আনবে। চলতি সপ্তাহেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্যারিসভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকা (গ্রে লিস্ট) মিয়ানমারকে অর্ন্তভূক্তির অর্থ হচ্ছে আন্তঃসরকারীয় সংস্থা দেশটির অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন মোকাবেলার সামর্থ্যে ‘কৌশলগত ঘাটতি’ খুঁজে পেয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের ‘ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ এর প্রধান কায়াও উইন থেইন এ সপ্তাহে প্যারিসে ‘ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স’ (এফএটিএফ) এর বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

রয়টার্সকে তিনি বলেন, মিয়ানমার এখন পর্যন্ত ধূসর তালিকায় (গ্রে লিস্ট) নেই্। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

এফএটিএফ এর কার্যপ্রণালী এবং মিয়ানমার বিষয়ক তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমার অর্থ-পাচার বিরোধী কর্মপরিকল্পনা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে উঠতে পারেনি। আর সে কারণে দেশটি এ সপ্তাহের বৈঠকেই ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার পথে আছে।

এফএটিএফ সাধারণত বৈঠকের শেষে শুক্রবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে থাকে।

কায়াও উইন থেইন জানিয়েছেন, অর্থ পাচার বন্ধে মিয়ানমার সরকার একটি কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

এর আগে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবেলায় অগ্রগতির জন্য ২০১৬ সালে মিয়ানমার এফএটিএফ এর ওই তালিকা থেকে মুক্ত হতে পেরেছিল। কিন্তু এরপর আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য দেশটির আবারো ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হল। বর্তমানে ১২ টি দেশ এ তালিকায় আছে।