• শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

  • || ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০০ কোচ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৪  

সম্পূর্ণ অকেজো (ড্যামেজ) হয়ে পড়া ১০০টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। রাজস্ব খাতের বাইরে প্রকল্পের আওতায় ঐ কোচগুলোর ভারী মেরামত বা পুনর্বাসন হচ্ছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, ১০০টি সম্পূর্ণ ড্যামেজ কোচ মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। এসবের কোচের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঐ কোচগুলো প্রকল্পের আওতায় এনে সম্পূর্ণ সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কোচগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের ৫০টি ও মিটার গেজ ( ছোট) লাইনের ৫০টি। ঐ কোচগুলোর সুপার স্ট্রাকচার খুলে দিয়ে সম্পূর্ণ অবকাঠামো নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।

সূত্রটি জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় রাজস্ব খাতের আওতায় প্রতিদিন দুইটি করে কোচ মেরামত হয়ে থাকে। এর অতিরিক্ত হিসাবে প্রকল্পের আওতায় কারখানার ক্যারেজ শপে ঐ ১০০টি কোচ সম্পূর্ণ পুনর্বাসন হচ্ছে। কারখানার অবসরপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীরা এই প্রকল্পে কাজ করছেন। ঐ প্রকল্পে একজন প্রকল্প পরিচালক আছেন। তার তদারকিতে চলতি বছরের শুরু থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে তিনটি কোচ পুণর্বাসন হয়েছে। কোচগুলোর মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। তিনি গত ২৫ মে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় গেলে দেখা যায়, রেলের অবসরপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রকল্পের অধীনে কাজ করছেন। সেখানে কথা হয় রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সম্পাদক শেখ রোবায়তুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দারুণ কাজ হচ্ছে। ড্যামেজ কোচগুলো নতুন হয়ে উঠছে। খুবই বিষ্ময়কর। আমাদের সক্ষমতা আছে, আমরা চাইলে নতুন কোচ তৈরি করতে পারি। তবে এজন্য প্রয়োজন কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আমরা কোচ বানানোর কাজ শুরু করলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।’ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। এ নিয়ে কথা হয় প্রকল্প পরিচালক ও পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান বলেন, ‘নতুন অর্থবছরে আমরা সবগুলো কোচ পূণর্বাসন করে রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করতে পারব। কোচগুলো হবে অত্যন্ত উন্নতমানের। এরই মধ্যে আমরা তিনটি কোচ পুনর্বাসন করেছি। এসব কোচ দ্রুত ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’