• সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২১ ১৪৩১

  • || ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিরল আকৃতির শিশুর জন্ম, নেই হাত-পা ও মাথা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৪  

নীলফামারীতে এক মায়ের কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছে দুই শিশু। একটি পুত্র সন্তান হলেও আর একটি হয়েছে বিরল আকৃতির। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে হাত-পা, মাথা ছাড়াই। 

নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নিলেও চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু দুটি এক সঙ্গে গর্ভে আসায় গর্ভের একটি অংশ চাপা পড়লে শিশুটির আকৃতি অস্বাভিক হয়ে যায়। আবার এটি জেনিটিক কারণও হতে পারে।  

জানা যায়, নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের লোকমানপাড়ার তারিন ও মোমিনুর দম্পত্তির কোল আলোকিত করে একে একে জন্ম নেয় দু’টি শিশু। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে সাধারণভাবে এই নবজাতক শিশু দু’টির মধ্যে সর্বপ্রথম ভূমিষ্ঠ হয় বিরল আকৃতির শিশুটি। ১ কেজি ৮ গ্রাম ওজনের শিশুটির দু’টি আঙ্গুল দেখা গেলেও নেই দেহের গঠন। দেখতে ডিম্বাকৃতির হলেও নেই হাত-পা ও মাথা। আর পরের নবজাতকটি পুত্র সন্তান হলেও তার ওজন ১ কেজি ৬ গ্রাম। তারও রয়েছে নানা সমস্যা। রাখা হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।

নবজাতকের মা তারিন বলেন, কয়েকদিন আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্টে জানতে পারি দুই বাচ্চার একটি পেটে মারা গেছে আর একটি বাচ্চা বেঁচে আছে। ঘটনাটি জানার পর বাড়িতে গিয়েছি। গতকাল পেটের ব্যথা উঠলে আবারো হাসপাতালে আসি। এখানে এসে নরমালে দুটি বাচ্চা ডেলিভারি হয়েছে। মৃত বাচ্চাটিকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে আর জীবিত বাচ্চাটি হাসপাতালে আছে।

নবজাতকদের নানি বলেন, ‘আগে এরকম বাচ্চা কখনও দেখিনি, এই প্রথম দেখলাম। বাচ্চা দু’টি জন্মের পর অনেক মানুষ দেখতে ভিড় করছে।’

বাচ্চাটিকে দেখতে আসা একজন বলেন, এই প্রথম এরকম বাচ্চা দেখলাম। দেখতে একদম ডিমের মতো। হাত-পা, গলা মাথা কিছুই নেই।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আব্দুর রহিম বলেন, হাসপাতালে সাধারণভাবে ভূমিষ্ঠ হয়েছে শিশু দুটি। তবে বিরল আকৃতির শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে গর্ভে চাপা পড়ে কিংবা জেনিটিক কারণে হতে পারে। আকার আকৃতি না থাকায় শিশুটিকে পরিবারের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। আর বেঁচে থাকা নবজাতকটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।