• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রংপুরে উন্নয়নের জোয়ারে হারিয়ে যেতে বসছে এরশাদের লাঙ্গল

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮  

এক সময় জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বলা হতো রংপুর কে । খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন! দেশের মিডিয়া এমনকি আন্তর্জাতিক মিডিয়াও ফলাও করে প্রচার করে সে খবর। তখন মনে করা হতো লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিলেও লাঙ্গলেরই জয় নিশ্চিত। এসব কথা এখন সুদূর অতীত। আওয়ামী লীগের ব্যাপক উন্নয়নে হারিয়ে যাচ্ছে এরশাদের লাঙ্গল। চারদিকে এখন আওয়ামী লীগের জয়গান।এর প্রধান কারন আওয়ামীলীগ প্রধান নিজেই এই রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ যেসব দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছে- যার কিছু কিছু কখানো কল্পনাও করেনি রংপুর সদরবাসী। উন্নতি হয়েছে রংপুর নামের সাথে বিভাগ কথাটি। পাল্টে গেছে রংপুর সদরের অনেক কিছু । হয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ, স্থাপিত হয়েছে বিভাগীয় কারয্যল্যের প্রতিষ্ঠানসমুহ। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় দারুন সাফল্য। রংপুর হয়ে বা রংপুরে আসার পথে র‍য়েছে তিস্তার বুকে দুইটি সড়ক সেতু। স্থাপিত হয়েছে মেরিন একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস, শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ সমানতালে এগিয়ে চলছে। অবকাঠামো নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ।টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,পুষ্টি ইনস্টিটিউট। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক মাতৃসদন কেন্দ্র, অত্যাধুনিক মা ও শিশু হাসপাতাল। পরিবার পরিকল্পনা অফিস, পুলিশ সুপার কারয্যলয়, বিভাগীয় কমিশনারের কারয্যলয়, জেলা শিশু একাডেমী, মহিলা ক্রিড়া কমপ্লেক্স, আবাসন প্রকল্প, সিটি কর্পোরেশন ভবন, ফোরলেন রাস্তা ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজের উন্নয়ন সাধন যা এখন দৃশ্যমান। নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য স্থাপন করা হচ্ছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রশিক্ষণ শেষে দেওয়া হচ্ছে সুদমুক্ত বিশেষ ঋণ সুবিধা। তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য পৃথক সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রও রয়েছে। বলতে গেলে সারা দেশের ন্যায় রংপুরেও উন্নয়নের উৎসব শুরু হয়েছে। এছাড়াও রংপুরে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, মৎস্য ইনস্টিটিউট, আইটি পার্ক, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হযেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন হয়েছে। আগে যেসব রাস্তা কাদায় পরিপূর্ণ থাকতো, সেসব রাস্তায় এখন দুরন্ত গতিতে চলছে গাড়ি। রংপুর জেলা শহরের যোগযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে নির্মাণ করা হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়ক। সম্প্রতি প্রকল্পটির জন্য অর্থ ছাড় করা হয়েছে। অনেক আগেই নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। স্থানীয়দের মতে, এসব উন্নয়ন এবং জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এরশাদের লাঙ্গল। এখন সবার মুখে নৌকার জয়গান। রংপুরে নৌকার পালে হাওয়া অবশ্য উন্নয়নের অব্যাহত ধারা থেকেই লাগতে শুরু করে। তবে মাদকের উৎপাত ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের ত্রাণ ও টিআর, কাবিখা, এডিপি নিয়ে নয়ছয়ের কারণে কিছুটা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। বরাবরই রংপুরে বিএনপি’র অবস্থা নাজুক। অধিকাংশ সময় বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। তাই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারে রংপুর সদর ৩ আসনের ভোটাররা ভাবছে পরিবর্তনের । এদিকে রংপুরের কৃতিসন্তান সংগ্রামী মুজিব আদর্শের সৈনিক রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল ইসলাম রাজু বলেন, তারা তো অনেক দিন থেকে এই আসন গুলিতে আছে মহাজোট এর কারনে এবার স্থানীয় আওয়ামীলীগ এর নেতারাই উন্নয়নের হাল ধরুক। রংপুর কে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দরকার ছিলো। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেকুজ্জামান বলেন, মানুষ এখন শুধু উন্নয়ন চায়,চায় পরিবর্তন তাই আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরিবর্তন হবে ইনশাল্লাহ এবং নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য রংপুরের মানুষ অপেক্ষায় আছে বলে তিনি জানান।