• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার সুযোগ চাইলেন সাদ এরশাদ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই রংপুরে আনাগোনা বেড়েছে এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদের। গুঞ্জন উঠেছে এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে সাদের প্রার্থিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে শনিবার (৩১ আগস্ট) তার বাবার চেহলামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এরশাদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি।

এরশাদপুত্র সাদ বলেন, 'ওনার (এরশাদ) তো অনেক পরিকল্পনা ছিল। অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। সেই কাজগুলো শেষ করার জন্য আমি রংপুরে কাজ করতে চাই।'

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‌'একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমরা (জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ) এক ছিলাম। জোটবদ্ধ থেকে নির্বাচন করেছি। আশা করি রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনও জোটগতভাবে হবে। এ আসনটি এরশাদের আসন। এই আসন থেকে উনি (এরশাদ) সব সময় বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই স্যারের (এরশাদ) স্মৃতিবিজড়িত আসনটি রক্ষার দায়িত্ব জাতীয় পার্টির সবার।'

এসময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সেখানে উপস্থিত থাকলেও কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি এরশাদের মৃত্যুর পর রংপুরে প্রথমবার এলেও তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।

এদিকে, এরশাদের সমাধিস্থল পল্লী নিবাসে আয়োজিত চেহলাম ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

এরআগে দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবর জিয়ারত করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। মৃত্যুর চল্লিশ দিনের মাথায় গত ২৪ আগস্ট চেহলাম আয়োজনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে জন্মাষ্টমীর কারণে পিছিয়ে ৩১ আগস্ট করা হয়। ৩১শে আগস্ট বাদ জোহর থেকে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ১১টি স্থানে এবং সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫টি স্থানে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছিল।