• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রংপুর-৩ উপ-নির্বাচনে আগ্রহ নেই ভোটারদের

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা প্রচারে মাঠে নামলেও সাধারণ ভোটারদের তেমন সাড়া নেই। জাতীয় পার্টির অন্তর্কোন্দল, বিএনপিতে বহিরাগত প্রার্থী দেওয়া এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ভোটাররা আছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে।

সরেজমিনে গতকাল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পরই নিজ নিজ দলের পক্ষে সাধারণ ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও মাইকিং চলছে সদর-নগরজুড়ে। কিন্তু চারদিকে সুনশান। নির্বাচনী আমেজ নেই কোথাও। ক’দিন আগেও এই পরিস্থিতি ছিল না। অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু গত সোমবার তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন পর এই আসনে দলের প্রার্থী দেওয়ায় তারা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। নির্বাচনী মাঠে তারা থাকবেন না বলেও জানান। এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার ধাক্কা নেতাকর্মীরা এখনও সামলে উঠতে পারেনি। পরে কী হবে জানি না।

এদিকে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ বড় একটি অংশ এই নির্বাচনে সাদকে বর্জনের ডাক দিয়েছেন। অন্যদিকে এরশাদের ছোট ভাইয়ের ছেলে সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

অপরদিকে শতভাগ জয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সাদ এরশাদ। আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা রংপুরবাসী বার বার লাঙল ও এরশাদকে ভোট দিয়েছি। এবার তার পুত্র সাদকে আমরা বিপুল ভোটে জয়ী করব। আমরা প্রমাণ করব রংপুর মানেই এরশাদ ও লাঙল।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে দলীয় প্রার্থীকে সরিয়ে রিটা রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। তবে ওই নির্বাচনে রিটা রহমানের পক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নামেনি। অংশ নেয়নি প্রচার-প্রচারণায়। এবারও তাই ঘটছে। এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু বলেন, ‘প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে দ্বন্দ্ব আছে। সে কারণে তারা নির্বাচন থেকে পিছিয়ে আছে। তবে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করা হবে।’

ভোটযুদ্ধের প্রচারণায় হেভিওয়েট প্রার্থী সাদ এরশাদ ও রিটা রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ স্থানীয় হিসেবে রয়েছেন আলোচনার কেন্দ বিন্দুতে। প্রধান দু’দলের দুই প্রার্থীর সঙ্গে আসিফের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।