• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রংপুর-৩ উপনির্বাচনে ২০১২ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি দেখছে ভোটাররা।

২০১২ সালে অনুষ্ঠিত নবগঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে তখন আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়েও মেয়র পদে জয়লাভ করতে পারেননি জাতীয় পার্টির তৎকালীন প্রার্থী বর্তমান সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঘাঁটিতে তখন জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র একেএম আবদুর রউফ।

ফলে জাতীয় পার্টির ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও দলীয় সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়ে নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তিনি বিজয়ী হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে ফেরেন। এবারও সেই সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত রংপুর সদর আসনের ভোটাররা।

আগামী ৫ অক্টোবরের এমপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ আসিফকে প্রকাশ্যে/অপ্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন। বিএনপির প্রার্থিতা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। ফলে নির্বাচনী হাওয়া আসিফের দিকেই বইছে।

এবারের প্রেক্ষাপট হুবহু ২০১২ মতো না হলেও অনেকটা তেমনি মনে করছেন অনেকেই। জাতীয় পার্টির অনেক নেতাই লাঙ্গলের বিরোধিতা করছেন। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমি আমার অবস্থানে অনড় আছি। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষেও নেই, বিপক্ষেও নেই। আমার অবস্থান নিরপেক্ষ।

কর্মীদের বিষয়েও আমার কোনো নির্দেশনা নেই। ২০১২ সালের নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি হতে পারে কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে এটা হওয়া উচিত। জাতীয় পার্টির একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফের পক্ষে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগেরও অনেককেই আসিফের পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে আসিফ বলেন, এরশাদ পরিবারের সন্তান হিসেবেই আমার পরিচয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম। এবারের নির্বাচন হচ্ছে রংপুরে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্বাচন। স্থানীয় এমপির কাছে মানুষের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকে। বহিরাগতরা নির্বাচনের পর ঢাকায় থাকবেন। আমি এলাকায়ই থাকব। জাতীয় পার্টিই নয় আমি আওয়ামী লীগেরও ভোট পাব। বিএনপি’র যোগ্য প্রার্থী না থাকায় তাদের বিক্ষুব্ধ একটি অংশের ভোটও আমি পাব।

জানতে চাইলে লাঙ্গলের প্রার্থী সাদ এরশাদ বলেন, আমি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। আমি ভোটারদের ভালোবাসায় মুগ্ধ। আমি নগরীর লোহাপট্টি, সুপার মার্কেট, সদর উপজেলা চন্দন পাট ইউনিয়ন, শ্যামপুর, সিলিমপুর, ভুরার ঘাট এলাকায় গণসংযোগ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, লাঙ্গলের প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে।