• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০১৯  

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়ন ও শহরের মাদরাসাপাড়া থেকে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের ভেলারহাট গ্রাম থেকে বিথি রাণী শরমা (১৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে রুহিয়া থানা পুলিশ।

অপরদিকে একই সময়ে শহরের ১নং ওয়ার্ড মাদরাসাপাড়া থেকে রুকসানা বেগম (৩৪) নামে আরেক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। বিথী রাণী ভেলারহাট গ্রামের জোতিশ রায়ের স্ত্রী ও রুকসানা বেগম মাদরাসাপাড়ার রনজু আলীর স্ত্রী।

বিথি রাণীর পরিবার অভিযোগ করে বলেন, শ্বাসরোধে বিথি রাণীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি আত্মহত্যা করেছেন বিথি।

বিথির পরিবার জানায়, ছয় মাস আগে আখানগর ইউনিয়নের ভেলারহাট গ্রামের বাসিন্দা জোতিষ রায়ের সঙ্গে বিথি রাণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার সকালে জোতিষ রায় তার স্ত্রী বিথি রাণীকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। সে যেতে রাজি না হলে জোতিষ তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে স্বামী জোতিষ। অবস্থা বেগতিক দেখে মরদেহ ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় জোতিষ। খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

অপরদিকে, রুকসানার পরিবার জানায়, অতিরিক্ত ঋণগ্রস্ত হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন রুকসানা। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানান রুহিয়া থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার রায়।

তিনি বলেন, বিথি রাণী কিভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতে মরদেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে বিথির মৃত্যুর রহস্য।