• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯  

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে আনন্দ রায় নামের এক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভাল আছে এবং এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার রাতে আনন্দকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

আদিতমারী উপজেলার আরাজি দেওডোবা গ্রামের কামিনী রায়ের ছেলে আনন্দ রায় (১৬) বছর খানেক ধরে ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে চাকুরি করেন। ঢাকা থেকে কয়েকদিন আগে তিনি লালমনিরহাটে আসেন। গত দুদিন ধরে জ্বরে ভোগার পর সুস্থ না হলে শনিবার বিকেলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগ নির্ণয়ে কিছু পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার রিপোর্টে তার ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে।

হাসপাতালে বিছানা খালি না থাকায় বর্তমানে মেডিসিন ওয়ার্ডের মেঝেতে আনন্দ চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই মহানন্দ।

সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. গোলাম মোহাম্মদ জানান, ডেঙ্গু রোগীটি বর্তমানে ভাল আছে। সে ঢাকা থেকেই ডেঙ্গু রোগ নিয়ে এসেছে। ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা সদর হাসপাতালে নেই। তবে জেলা শহরের একটি বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এই রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। আপাতত রোগী ভাল আছে। তবে লালমনিরহাটের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে ঈদের সময়। ঢাকায় থাকা লোকজন যদি সে সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাটে আসে।

পৌর মেয়র, সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসক আতঙ্কিত না হয়ে মশার আবাসস্থল তথা বাড়ির আশপাশের ঝোঁপঝাঁড়ের অংশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, ‘মশা নিধনের ওষুধ পর্যাপ্ত আছে। যা এর আগেও ছিটানো হয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির আন্দোলনে থাকায় এই মূহুর্তে নতুন করে ছিটানো যাচ্ছে না। তবে যার যার নিজ বাড়ি নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

সিভিল সার্জন ডা. কাশেম আলী বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সনাক্তে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘জেলায় আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান অব্যাহত আছে। বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, শহরাঞ্চল, ইউনিয়ন পরিষদ সবখানেই এই কার্যক্রম চলমান আছে। জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রমও চলমান রেখেছি। এই কার্যক্রম আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আর ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিভাগ করবে। এ ব্যাপারে যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’