• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

অতি দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচীর কার্ডের চাল পায়নি নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার। ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে সুফলভোগী ওই কার্ডের সাড়ে ৭ হাজার কেজি চাল, কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশন ও নীলফামারী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত দায়ের করেছে। ওই চালের বাজার মূল্য দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। মঙ্গলবার ওই লিখিত অভিযোগের কপি সাংবাদিকদেরও প্রদান করা হয়।

অভিযোগ মতে, ঈদ উপলক্ষে সরকারের পক্ষে বিনামূল্যে উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের ৫ হাজার ৬৮৪ জন সুবিধাভোগী প্রতিজন কার্ডধারীকে ১৫ কেজি করে চাল বিতরণের ৮৫.২৬০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান পরিষদের সদস্যদের যোগসাজশে সঠিকভাবে চাল বিতরণ না করে ভুয়া মাস্টাররোল দাখিলের মাধ্যমে এই চাল আত্মসাৎ করেন। এজন্য তিনি পরিকল্পিতভাবে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ না করে, তার বাসভবন সংলগ্ন বুড়িরহাট দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ওই চাল বিতরণ করেন। কার্ডধারীদের তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যান মৃত ব্যক্তি, অজ্ঞাত ব্যক্তি, পিতা ও স্বামীর নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারচুপি করেন। দাখিলকৃত মাস্টারোলের ৫৩৯১ থেকে ৫৪৩০ ক্রমিক নম্বরের সুবিধাভোগীদের নাম ও ঠিকানা ৫৪৩১ থেকে ৫৪৭০ ক্রমিক নম্বরে পুনরায় দেখানো হয়। এ ছাড়া ৪৬৫, ৯৭১, ৯৭৩ ও ৩২১ ক্রমিক নম্বরে মৃত ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। তালিকাভুক্ত ভুয়া কার্ডধারীর ক্রমিক নম্বর ১৩২৩, ১৩৩২, ১৭৫১, ৫৪২৪, ৫৪৭৫ ও ৫৪৭৯। এর মধ্যে আবার প্রকৃত পাঁচ শতাধিক কার্ডধারীকে চাল দেয়া হয়নি। এমন পাঁচ শতাধিক কার্ডধারীকে চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে কথা বলা হলে কার্ডধারী ফরিদুল ইসলাম ক্রমিক নম্বর ৩২২২, রুমাকান্ত ক্রমিক নম্বর ৪৬৬৯, জলিতন ক্রমিক নম্বর ৩২৮৬, আব্দুর কাদের ক্রমিক নম্বর ৩২৪৪ এবং ফেলোবেওয়া ক্রমিক নম্বর ৪৬৭৫ বলেন অভিযোগ করে জানায় তার এই চাল উত্তোলনের জন্য গেলে ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের তালিকায় নাম নেই বলে তিনি চাল দিবেন না। ফলে আমাদের বাড়ি ফিরে আসতে হয়। এ ব্যাপারে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, আমি প্রকৃত মাস্টাররোলের তালিকা অনুযায়ী ৫ হাজার ৬শ ব্যক্তির মাঝে পবিত্র ঈদ-উল আজহার চাল বিতরণ করেছি। চাল বিতরণে কোন অনিয়ম করা হয়নি।