• সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১ ১৪৩১

  • || ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নফল নামাজের সিজদায় কি কোরআন পাঠ করা যাবে?

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

নামাজে কোরআন থেকে কিছু আয়াত পাঠ করা ফরজ। আল্লাহ নামাজে কোরআন পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,

فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ

তোমরা কোরআন থেকে যতটুকু সহজ হয় ততটুকু পড়। (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)

নামাজে প্রতি রাকাতে দাঁড়ানো অবস্থায় কেরাত পড়া ফরজ। সুরা ফাতেহা পড়া ও সুরা মেলানো ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কোনো রাকাতে কুরআন থেকে কিছুই না পড়ে, তাহলে ওই রাকাতটি পূর্ণ হবে না। ভুল করে সুরা ফাতেহা বা ফাতেহা-পরবর্তী কেরাত না পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে। সাহু সিজদা না দিলে নামাজ আবার পড়া ওয়াজিব হবে।

নামাজে কোরআন পাঠের নির্ধারিত জায়গা হলো কিয়াম বা দাঁড়ানো অবস্থা। কোরআন যতটুকু পড়ার নির্ধারিত পড়তে হবে। রুকু বা সিজদায় কোরআন পাঠ করা করা যাবে না। রুকু-সিজদায়ে কোরআন পাঠ করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। হজরত আলী (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে রুকু বা সিজদায় কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ মুসলিম)

এ ক্ষেত্রে ফরজ ও নফল নামাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ফরজ নামাজের রুকু-সিজদায় যেমন কোরআন পাঠ নিষিদ্ধ, নফল নামাজের রুকু-সিজদায়ও কোরআন পাঠ নিষিদ্ধ।

ইসলামে নফল নামাজ বলতে এমন নামাজ বোঝায় যা আদায় করলে সওয়াব রয়েছে কিন্তু আদায় না করলে গুনাহ নেই। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তের ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ, তিন রাকাত ওয়াজিব বেতর নামাজ ছাড়া অন্যান্য নামাজ নফল গণ্য হয়।

ফরজ ও নফল নামাজের বিধানে অনেক ক্ষেত্রে আলাদা হয়। যেমন ফরজ নামাজের সিজদায় নির্ধারিত তাসবিহ ছাড়া অন্য দোয়া করা নিষিদ্ধ হলেও নফল নামাজের সিজদায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া করা জায়েজ। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নফল নামাজের সিজদায় দোয়া করতেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) নামাজের সিজদায় দোয়া করতেন,

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।

অর্থ: হে আল্লাহ আমার সূক্ষ্ম, স্থুল, শুরু ও শেষের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন। (শরহু মাআনিল আসার)