• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখী ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড 

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নিতে মুখোমুখী ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড 

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নিতে মুখোমুখী ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল মহারণে আজ মাঠে নামছে তারা। রানার্সআপ হলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দুই দলের কেউই। সেই খেতাব অর্জনে কেউ যে কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না তা সহজেই অনুমেয়।

ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে হবে দুই দলের এই মহারণ। ঘরের মাঠে ছেলেরা খেলছে ফাইনালে, তাই ব্রিটিশদের উন্মাদনা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। পুরো ইংল্যান্ড এখন ফাইনাল জ্বরে কাঁপছে। ওদিকে ব্ল্যাক ক্যাপদের সমর্থকদেরও চাওয়া ছেলেরা ইংল্যান্ড থেকে শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরুক।  

বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে। এর আগে এবারের বিশ্বকাপে লিগ পর্বের মোট ৪৫টি ম্যাচ শেষে সেরা চার দল জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। দলগুলো হলো- ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সেমিফাইনালের ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮ রানে নিউজিল্যান্ড ও দ্বিতীয় সেমিতে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। ম্যানচেষ্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম সেমিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। ৪৬ দশমিক ১ ওভারে ৫ উইকেটে ২১১ রান তুলে চাপে ছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরবর্তীতে আর খেলা শুরু না হলে, রিজার্ভ ডে'তে গড়ায় ম্যাচটি। 

দ্বিতীয় দিন ভারতীয় বোলারদের নৈপুণ্যে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি কিউইরা। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে মহা বিপদে পড়ে ভারত। ৫ রানে ৩ উইকেট, ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এতে ম্যাচ জয় সময়ের ব্যাপার ছিল নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটিং দৃঢ়তায় লড়াইয়ে ফিরতে সক্ষম হয় ভারত। তবে শেষদিকে, জাদেজা ৫৯ বলে ৭৭ ও ধোনি ৭২ বলে ৫০ রান করে ফিরে গেলে জয়ের স্বাদ পায় নিউজিল্যান্ড।
 
দ্বিতীয় সেমিতে বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই ইংল্যান্ড বোলারদের তোপে পড়ে অজিরা। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। শুরুর ধাক্কাটা পরবর্তীতে সামাল দিলেও শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২২৩ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার ২২৪ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে হিমশিম খেতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। ওপেনার জেসন রয়ের ৬৫ বলে ৮৫ রান ইংলিশদের জয় সহজ করে। ফলে সেমির ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াইয়ের টিকিট পায় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

এই নিয়ে চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। তিনবারই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইংলিশদের। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল দলটি। তবে সেখানে রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইংলিশদের। এরপর আর কোনো আসরের ফাইনালে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড।

সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারানোর পর ইংলিস অধিনায়ক মরগান বলেন, আমরা গেল চার বছর অনেক পরিশ্রম করেছি। সেই ফল আজ দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব দেখছে আমরা এখন সেরার মুকুট পরা থেকে এক ধাপ দূরে।

আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। গত আসরের ফাইনালে উঠেও রানার্স-আপ হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয়েছিল। সেবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে হেরে গিয়েছিল কিউইরা।